ত্যাগ স্বীকার
ছোট ছোট গাছগুলির সবুজ পাতার রং গঞ্জের এই স্ট্রিট light এর আলোয় আর সবুজ দেখায় না তেমন ।
ধুসর রং ও ধুলোবালির একটি পুরু আস্তরণ যেন অর্ধ স্বাধীন কর্তব্য কর্ম হীন জীবনে তার যথেষ্ট রং এর ঝটা
রেখে গেছে।
কিন্তু সন্ধার এই অবসরে খা চার পাখি ময়না তবু খোঁজে অজানা কোনো পারের নির্ভেজাল অক্সিজেনএর সরবরাহ।
তার ঠোটে বেজে ওটে চেতনার এক অদ্ভুত আবেশ।
গত চৈত্র মাসের মেলা হতে এই ময়না তা আমাদের বাড়িতে আসে।
তার মালিক এর এক মাত্র পোষা ময়না। স্ত্রীর অসুখ ও অর্থর জন্য তাকে সে বুনো মা এর মেলায় নিয়ে যায়
বিক্রির জন্য।
তার মালিক তার জন্য দুখ করে শেষ চলে আসার সময়!
সেই হতে কেন যেন এক মায়ার জালে সে বুনতে চলেছে এই বাড়ার নরম ও গরম শোর গোলের মাঝে।
সে বলতে চাই স্বাধীন ভাষা তবু যেন সে নিজে স্বাধীন হতে চাই না।
খাচা ও পা এর শেকল খুলে দিলেও সে উড়ে পালাতে চাই না!
এই বাড়িতে সদ্য আমার কন্নার বিবাহ যোগ উপস্থাপন হয় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের একমাত্র ছোট ছেলের সাথে।
তাদের বাড়ি নদীর অপরের পারে ! ছেলে বিদেশ হতে ডাক্তারি পাশ করে এই ছোট শহর তলীর গরিব মানুষের
চিকিতসা করে !
আমার কন্নার বয়স ২৫ বত্সর। সে এমকম পরীক্ষা পাশ করার পর চাকরির জন্য নদীর ওপারে এক
পোস্ট office কাজ করে।
সংসারে আমি আমার স্ত্রী কন্না ও ময়না।
আমার রেট্রিয়েদ জীবন যখন ধুসহ রকম ভারী হযে ওটে তখন ওই আমার এক মাত্র সংঘ।
বরারী সংঘ আজ কাল আর বিশেষ ভালো লাগে না। বন্ধুদের সাথে মাঝে মধ্যে আলাপ আলোচনায়
মাঝে মাঝে স্বাধীনতার অভাব বোধ করি। তারা প্রায়শ আমার গতি বিধির ওপর সমন জারি করে বলে
সবে তো সন্ধে রাত বাকি হে।
সত্যি সন্ধে টা আজ স্বাধীন বোধ করছি।
পুত্র পক্ষের সবাই আমাদের বাড়ি হতে চলে যাবার পর আর এক নতুন অধীনতার আবির্ভাব ঘটে।
আমার এক মাত্র ছোট কন্না চলে যাবে অন্যের ঘরে। আমাদের বাড়ির সমস্ত শোরেগলের ওই এক মাত্র উত্স।
সব সময় ঘর আলোক করে রাখত। চুন থেকে পান টি খসলে সে আমায় স্বাধীনতার আশ্বাস দিয়ে বলত , তোমার
জন্য এই বাড়ির কোনো ক্ষতি হবে না বৈকি কিন্তু তোমার এই খে য়াল পনার মাত্র দিন দিন বেড়ে চলছে , এবার নিজের জন্য কিছুটা সময় আপন হতে বয়তে দেওয়া সময় হতে ফিরিয়ে আনতে। এবং ওর পৃথিবীর যত আশার
যত বালোবাসার দিক গুলো আছে তা নিয়ে ভাবত আমাকে।
স্বাধীন কথাটা যত সহজ তত একে লাভ করা কঠিন।
নানা রকম bond ঘিরে রাখা ঘোর টোপের এই পৃথিবীর মায়া কজন আর আলাদা করে ঝুজতে পারে তেমন অনুপ্রেরণা বা আজ কোথায় ?
..............................................
ছোট ছোট গাছগুলির সবুজ পাতার রং গঞ্জের এই স্ট্রিট light এর আলোয় আর সবুজ দেখায় না তেমন ।
ধুসর রং ও ধুলোবালির একটি পুরু আস্তরণ যেন অর্ধ স্বাধীন কর্তব্য কর্ম হীন জীবনে তার যথেষ্ট রং এর ঝটা
রেখে গেছে।
কিন্তু সন্ধার এই অবসরে খা চার পাখি ময়না তবু খোঁজে অজানা কোনো পারের নির্ভেজাল অক্সিজেনএর সরবরাহ।
তার ঠোটে বেজে ওটে চেতনার এক অদ্ভুত আবেশ।
গত চৈত্র মাসের মেলা হতে এই ময়না তা আমাদের বাড়িতে আসে।
তার মালিক এর এক মাত্র পোষা ময়না। স্ত্রীর অসুখ ও অর্থর জন্য তাকে সে বুনো মা এর মেলায় নিয়ে যায়
বিক্রির জন্য।
তার মালিক তার জন্য দুখ করে শেষ চলে আসার সময়!
সেই হতে কেন যেন এক মায়ার জালে সে বুনতে চলেছে এই বাড়ার নরম ও গরম শোর গোলের মাঝে।
সে বলতে চাই স্বাধীন ভাষা তবু যেন সে নিজে স্বাধীন হতে চাই না।
খাচা ও পা এর শেকল খুলে দিলেও সে উড়ে পালাতে চাই না!
এই বাড়িতে সদ্য আমার কন্নার বিবাহ যোগ উপস্থাপন হয় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের একমাত্র ছোট ছেলের সাথে।
তাদের বাড়ি নদীর অপরের পারে ! ছেলে বিদেশ হতে ডাক্তারি পাশ করে এই ছোট শহর তলীর গরিব মানুষের
চিকিতসা করে !
আমার কন্নার বয়স ২৫ বত্সর। সে এমকম পরীক্ষা পাশ করার পর চাকরির জন্য নদীর ওপারে এক
পোস্ট office কাজ করে।
সংসারে আমি আমার স্ত্রী কন্না ও ময়না।
আমার রেট্রিয়েদ জীবন যখন ধুসহ রকম ভারী হযে ওটে তখন ওই আমার এক মাত্র সংঘ।
বরারী সংঘ আজ কাল আর বিশেষ ভালো লাগে না। বন্ধুদের সাথে মাঝে মধ্যে আলাপ আলোচনায়
মাঝে মাঝে স্বাধীনতার অভাব বোধ করি। তারা প্রায়শ আমার গতি বিধির ওপর সমন জারি করে বলে
সবে তো সন্ধে রাত বাকি হে।
সত্যি সন্ধে টা আজ স্বাধীন বোধ করছি।
পুত্র পক্ষের সবাই আমাদের বাড়ি হতে চলে যাবার পর আর এক নতুন অধীনতার আবির্ভাব ঘটে।
আমার এক মাত্র ছোট কন্না চলে যাবে অন্যের ঘরে। আমাদের বাড়ির সমস্ত শোরেগলের ওই এক মাত্র উত্স।
সব সময় ঘর আলোক করে রাখত। চুন থেকে পান টি খসলে সে আমায় স্বাধীনতার আশ্বাস দিয়ে বলত , তোমার
জন্য এই বাড়ির কোনো ক্ষতি হবে না বৈকি কিন্তু তোমার এই খে য়াল পনার মাত্র দিন দিন বেড়ে চলছে , এবার নিজের জন্য কিছুটা সময় আপন হতে বয়তে দেওয়া সময় হতে ফিরিয়ে আনতে। এবং ওর পৃথিবীর যত আশার
যত বালোবাসার দিক গুলো আছে তা নিয়ে ভাবত আমাকে।
স্বাধীন কথাটা যত সহজ তত একে লাভ করা কঠিন।
নানা রকম bond ঘিরে রাখা ঘোর টোপের এই পৃথিবীর মায়া কজন আর আলাদা করে ঝুজতে পারে তেমন অনুপ্রেরণা বা আজ কোথায় ?
..............................................
No comments:
Post a Comment