Thursday, 17 March 2016

ত্যাগ স্বীকার

যাই হোক ময়না টি এখন সকাল বিকাল নিয়ম করে কথা বলে।  কেও এলে বলে মেহমান এসেছে বসতে দাও।
ময়না তা আজ গলা ছেড়ে কেদে ওটে বলে দিদিমনি চলে  যাবে দিদিমনি চলে  যাবে।
দিদিমনি মানে আমার কন্না বলে না রে আমি তোকে সঙ্গে নিয়ে যাব।  তর শেকল ছাড়া প্রাণ যেমন
খোলা আকাশের মত চাহিদা হীন তুই তাই তো যাস না।  আমার প্রাণ তেমনি এখানেই পড়ে রবে ,
সুধু সংসারের এই অধীন কর্তব্য পালনে আমার এই সাময়িক চলে যাওয়া।
আজ সকালে ঘুম উটে এক অদ্ভুত কান্ড ঘটছে আমাদের বাড়ি তে ,  অর মা মানে আমার স্ত্রী কাল রাত্রে
সপ্নে পুজো দেবার সংকল্প এ ' মন্দিরে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছে এমন সময় সেই পাখি বিক্রেতা
মদের বাড়িতে হাজির।
তার দাবি ওই পাখিটি কে সে কাল রাতে এ বাড়িতে সপ্নে দেখেছে 'কিন্তু এই বাড়ির ঠিকানা সে তো আগে
 জানতো না।  ছবির মত মাইল যাও সপ্নের সাথে তার এই বাড়ির ছবি ও নদীর এপারের ঠিকানা।
আমার কন্না রোজ সকালের ন্যায় আজও পোস্ট অফিস এ কোলে গেছে।
আমার স্ত্রী তাকে চা ও জল খাবার দিয়ে বসতে বলে মন্দিরে যাই অর বাবা বাজার হতে ফিরলে যাই হোক এক
সমাধানএর চিন্তা  করা হবে।
আমি বাড়িতে ঢুকতেই পাখির মালিক আমার দিকে চহে প্রায় কাদার যোগার , আমি বলি কি বাপার আগে বলতে
সে সব বলে এবং জানায় তার স্ত্রী মারা গেছে কিছু দিন পরে পাখি টি বিক্রি করার পর। সে ডায়রিয়া য় ভোগে
বেশ কিছু দিন।
সে বলে সে দিগুন অর্থ দিতে চায় তবু তার পাখি টি ফিরিয়ে দিতে।
পাখি টি একটি কাছের ডালের ওপর হতে তার নিদৃষ্ট খাচায় ফিরে আসে তার মালিক কে সে স্ব ককিত নয়নে
দেখে প্রাণ ভরে।
আমি বলি তুমি দুপুরের আহারাদি সেরে তার পর আমার কন্না ফিরে এলে তুমি ওকে নিয়ে যাবে।

এর মধে ওর  মা মন্দির হতে বাড়িতে ফিরে আসে।
দুপুরে ইলিশ মাছ ,মুরিঘন্ত এর দল দিয়ে আহার সারার পর সে আর আমি গল্প করতে থাকি।
এদিকে সন্ধা হে এলো সূর্যর আলো প্রায় শেষ।
গোধুলি রঙের ছটা য় ময়না টি রং আরো কালো আধার রূপে আমাদের দুজনের চোক ধাদা ও দিধা দন্দ
সৃষ্টি করছে।

কিন্তু আমার কন্নার কোনো খবর নেই ' আমি ভাবলাম অর কলিক কোনো বান্ধবীর বাড়ি তে সে আছে।
তার তার আজ ফিরতে দেরী হচ্ছে।
রাত ৮ সময় আমি অর বান্ধবীর বাড়িতে ফোনে করি ' কিন্তু তার বান্ধবী আজ অফিস যাই নি।
ওই এক মাত্র বন্ধবি ছাড়া তার আর ঘনিষ্ট কেও নেই যে তার বাড়ি তে যাবে।
আমি ওর  অফিস এ পর অর বেশ  কযেক বার রিং করি কিন্ত সুনন সে রিং কেও ধরে না।
রাত ১০ টা।
আমি অর মা কে ও পাখির মালিক ক বসে থাকতে বলে নদীর পাড়ে অর আসার অপেক্ষায় যায়।
আশপাশের দুই চারটে পান সিগারেটের দোকানে জিগাসা করি কে কোনো সন্ধান  দিতে পারে না।
কিন্তু তারা বলে দিদিমনি আজ্জ অপার হতে আসিনি।
অশনি সংকেতের ন্যা য়  এই কি বিপদ ঘনই এলো আমার মস্তিস্ক আর কাজ করছে না।
রাত তখন গভীর।  মরা চাঁদের আলোয় শুকিয়ে  যাওয়া জলে ইলিশ মাছের আসের মত আলো আমার দুচোখের
যন্ত্রণা আরো তীব্র করেছে।
আমি আর চাঁদ জেগে আছি তার অপেক্ষায়।  ভোর  বেলার মাঝির নামাজ পরার শব্দে সামান্য ঘোর হতে
ফিরি দেখি সামনে কেবল্ একটি মাত্র খিয়া আছে যেখানে মাঝি আছে আর সব খিয়ার মাঝি তালা চাবি দিয়ে তার
যে  যার বাড়ি চলে গেছে কখন।
পাট্ট বোঝাই লাঞ্চ এই মাত্র নদীর বুক জুড়ে এক আলোড়ন সৃষ্টি করে বিদায় নিল।
ওপরের অস্পসট  আলো তখনও প্রহিরীর ন্যা য় দেখছে আমায় ও নদীটি  কে।
দুরে ডালু ইট পাতানো খিয়া ঘাটের পাশে কি যেন ভেসে আসছে।  আমি দিক বিদিক সুনন হে পড়ি  পা আমার অবশ
হে আসে  আমি কেন জানি বুজতে পারি আমার কন্নাই বুঝি ওই ভেসে আসা লাশ টি।
আসনন  সংকেত ঠিক আমি বালি চরে হাটু গেড়ে বসে পড়ি  পাশে একটি নতুন পাখির খাচা এবং আমার চেনা
কাপড় খানি তার আপদ মস্তক জড়িয়ে বালিসের মত ফুলে আছে।
দূর গাছে ময়না টি কাদছে বলছে দিদিমনি চলে যাস  নি দিদিমনি  চলে যাস  নি।
দূর হতে অর মা ও পাখির মালিক ছুটছে ও আমায় লক্ষ করে এদিকে আসছে।

অপার হতে আযান এর ধনী ভেসে আসছে এপারের নিরবতা খান খান করে ভেঙ্গে দিল। বাতাস যেন বহন করছে
এখনো আমার কন্নার ফিরে আসার অপেক্ষা।  চারদিকের সমস্ত পরিবেশ থখন অবিশ্বাস রূপ টি নিয়ে তাকিয়ে আছে
আমার দিকে।
আমি কিছুই কর্ণ পাত না করে মাতা মারিয়ার্ প্রনাম করার মত ঘর গুজে বালি চরে বসে থাকি বালু চরে।


এর পর কেটে যাই বেশ কিছি দিন কেও  কোনো এর ফির্স্তি দিতে পারিনি আজও। পাখির মালিক ত্যাগ শিকার করে পাখি টি আমায় দিয়ে তার বাড়ি চলে গেছে পাখিটি দিদিমনির শোকে কিছু দিনের মধ্যে মারা যায় ' না খেতে খেতে।

আজ আমাদের বাড়ির আম গাছের দলে এক নতুন ময়না পাখির আবির্ভাব হই সকাল হতে আজ্জ আমার মনে এক নতুন আশার  সঞ্চার করে! 
আমি আমার স্ত্রী ও নতুন ময়না!



















No comments:

Post a Comment